giovedì 18 settembre 2014

Riunione Comitato di Torpignattara


গতকাল ১৭-০৯-২০১৪ তরপিনাত্তারার ইতালীয়ান নাগরিকগণ এলাকার সমস্যা ও উন্নয়ন কল্পে স্থানীয় কমুনের হলে সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিট (তরপিনাত্তারা হাসপাতাল সংল্গন) এক আলোচনা সভার আয়োজন করেন। সেই সভাতে অতি সুক্ষ কৌশলে আলোচনা বিদেশীদের বিপক্ষে শুরু করে। তাহারা সভার শুরতেই আলোচনা করেন এলাকায় প্রচুর বিদেশী । বিদেশীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলির বিপক্ষে আলোচনা শুরু করেন। অতি কৌশলে তাহারা বলেন সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পুলিশি তল্লাশি করা উচিৎ।
তাহারা এটাও বলেন যে, তরপিনাত্তারায় প্রচুর মসজিদ হওয়ায় এলাকার মান কমে গেছে।
এরপর শুরু হয় বিভিন্ন বক্তব্য। সকল বক্তব্যই বিদেশীদেরকে আক্রমন করে কথা বলে। ঐ অবস্থায় ৬ নং বক্তব্য নিয়ে আসেন ইতালীয়ানদের মাঝে বাংলাদেশ সমিতির সভাপতি জনাব নুরে আলাম সিদ্দীকী বাচ্চু । জনাব বাচ্চু তাহার বক্তব্য দেওয়ার শুরুতে সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। সাথে তিনি খুব বলিষ্ঠ কন্ঠে বলেন যে, এই এলাকার সমস্যা সমাধানে আমরাও একমত, কিন্তু কোন অবস্থাতে মেনে নিব না যে, সমস্যা সৃষ্টি করেছে বিদেশী ইমিগ্রেন্ট । তিনি বলেন, আপনারা ইতালীয়ানগণও যেমন রাষ্ট্রীয় ভেট, কর প্রদান করুন, সেই রুপ আমরাও প্রদান করি। আপনিও যদি পৌরসভাকে কর দিয়ে থাকেন, সেই রুপ আমারও দিচ্ছি।
আপনাদের যে রুপ ধর্ম র্চ্চার জন্য চার্চ আছে, ঠিক সেই রুপ আমাদেরও মসজিদ প্রয়োজন। স্বরণ রাখবেন মসজিদ এর উপস্থিতি কোন অবস্থায় এই এলাকার মান কমায় নাই, বরং মসজিদ ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান থাকার কারনে এই এলাকার অসামাজিক কার্য্যক্রম রোধ পাচ্ছে।
তাহার জোড়ালো বক্তব্য দিবার পর, উপস্থিত ইতালীয়ানগণ ও পরের বক্তাগণ তাহাদের বক্তব্যে লাগাম টানে। নুরে আলম সিদ্দীকী বাচ্চু’র সাথে উপস্থিত ছিলেন Aminul Islam, Delowar Hossain, Huda Saheb, Monir Islam, Motalib Miah, Naim Ahamed , Oliur Rahman, Ripon Ahmed Samim, Saidur Rahman, Saiful Islam, Tanzil Hossain 
সহ বাংলাদেশ কমুনিটির অনেকেই। সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জনাব রিপন খান ও সিমুল।

martedì 9 settembre 2014

রোম শহরের নামাজ, মসজিদ, ইমাম ও নেতৃত্বে কোন্দল

মন্ত্যব করার পূর্বে
অথবা লাইক দিবার পূর্বে
সম্পূর্ণটা ভাল ভাবে
পড়ে -- মন্তব্য করুন-- ধন্যবাদ
সাবধান সকল মসজিদে নামাজ আদায় হয় না
আমরা অনেকেই হয়তো জানিনা যে, সকল মসজিদে নামাজ আদায় হয় না । অর্থাৎ আমি যদি ঐ নির্দ্দীষ্ট প্রকৃতির মসজিদে নামাজ আদায় করি তবে আমার নামাজ আদায় হবে না। আমার একটি ছোট্ট প্রশ্ন, রোম শহরের মসজিদ প্রতিষ্ঠাকারীদের প্রতি এবং সেই সাথে ইমাম, মাউলানা, মুফতি ভাইদের নিকট , আমরা যে ভাবে মসজিদ ঘোষনা করছি যেমন ১৫০ মিটার এর মধ্যে ৫টি মসজিদ ( তরপিনাত্বারা ) ঠিক একেই অবস্থা পিয়াচ্ছা ভিত্তরিওতে, তবে সেখানে ৫টি নয় ৪টি মসজিদ একটি থেকে অপরটির দূরত্ব বড় জোড় ১০০ থেকে ১৫০ মিটার । আবার তরপিনাত্বারাতে রাস্তার এপার আর ওপারেও মসজিদ দূরত্ব বড় জোড় ২০ মিটার ।
আবার লক্ষ্য করুন-------পিয়াচ্ছা ভিত্তরিওতে মাত্র ৫০ মিটার ব্যবধানে দুটি ঈদের জামাত ।
তরপিনাত্বারাতে ৪০০ মিটার ব্যবধানে দুটি ঈদের জামাত ।
এর অর্থ কি ? কি কারনে এই মসজিদ হিসাবে ঘোষনা দেওয়া হচ্ছে ? এই সকল মসজিদ এর মাঝে যদি নামাজ আদায় করি, তাহা হলে কি মুসল্লিদের নামাজ আদায় হবে ? কি কারনে সামান্য দূরত্বে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে ?
নামাজ আদায় হবে, যদি না, যাহারা মসজিদ কিংবা ঈদের নামাজের স্থান ঘোষনা দিবার জন্য দলা-দলি, নেতৃত্বের কোন্দল, অথবা নিজের বাহবা ইত্যাদি পাওয়ার জন্য না করে থাকে । তবে আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে এ গুলি হচ্ছে নিজেদের নেতৃত্বে জাহির করতে । ( আমি নিজেও এর বাহিরে না )।
আমরা এটাও জানি, সকলেই বলে থাকি, আল্লাহ্র ঘড় মসজিদ বানানোর জন্য আমরা এটা করেছি । কথাটা কতটুকু সত্য ?
আল্লাহতালা পবিত্র কোরাণ শরীফে সুরা তওবাতে ১০৭ নং আয়াত থেকে ১১০ পর্যন্ত হুশিয়ারী করেছেন । 
যাহারা বিভেদ এর জন্য মসজিদ সৃষ্টি করল তাহারা অবশ্যই মিথ্যাবাদী । আবার ১০৮ নং আয়াত বলে --- তুমি কখনো এতে দাড়াবে না ( অর্থাৎ নামাজে ঐ সকল মসজিদে দাড়াবে না, অবশ্য মাউলানা সাহেবগণ ভাল বলতে পারবেন এর অর্থ কি ? )
----------------- তাই অনুরোধ করব ইসলাম ধর্মকে খাটো করবনে না, মুসলিমদেরকে খাটো বানাবেন না, যেখানে সেখানে, যখন - তখন নামাজের জন্য মসজিদ ঘোষনা দিবেন না। তাই হাত জোড় করে অনুরোধ করব, একটি মসজিদ ঘোষনা করার পূর্বে চিন্তা ভাবনা করুন । মসজিদটি কি এই স্থানে প্রয়োজন ? না কি নিজেদের জাহির করা প্রয়োজন হচ্ছে ? স্থানীয় প্রশাসন এর নিকট হাসির পাত্র হিসাবে মুসলিম কমুনিটিকে উপস্থিত করবেন না । ঐ লোকের নিকট সাহায্য প্রার্থনা করুন, যিনি আপনাকে সাহায্য করবে। তাহার নিকট নয়, যিনি সাহায্যের চাওয়ার জন্য আপনাকে খাটো হিসাবে দেখবে ।
আমি মাউলান নই, তাই অনেক কথা বলতে পারি না । আবার বলতে গেলে, আপনারা বলবেন--- আমি মসজিদ বিরুধী, আপনারা বলবেন, আমি হয়তো কোন ব্যক্তির বিপক্ষে, আমি হয়তো চাচ্ছিনা একটা নতুন মসজিদ হউক ।
একটি মসজিদ নতুন ভাবে প্রচার করার পূর্বে---- বিশেষ ভাবে লক্ষ্য রাখা উচিতঃ
১। মসজিদে ৫ ওয়াক্ত নামাজে কত জন মুসল্লি অংশ গ্রহন করবে ?
২। শুধূ মাত্র জুম্মার নামাজ এর অংশগ্রহন কারীদের উপর ভিত্তি করে মসজিদ চালু করা উচিত হবে না।
৩। মসজিদ এর আয় কোথা থেকে হবে ? আর এই আয় অন্য কোন মসজিদ এর ব্যয় এর উপর চাপ সৃষ্টি করে কি না ?
৪। সকলের অর্থনৈতিক সাহায্যে যেহেতু বেশীর ভাগ মসজিদ পরিচালিত হয়, সুতরাং সকল কমিটিকেই বিষয়টির গুরত্ব দেওয়া উচিৎ। 
৫। মসজিদ কমিটির কর্মকর্তাগণ হালাল রুজীর সাথে সর্ম্পকিত কি না ? ( কারন এমন কথাও বিদেশীগণ বলে, অমুক আমাদের সাথে বিয়ার পান করে, অমুক এইটা করে, তমুক সেইটা করে---- ফলে ধর্মীয় পবিত্রতা নষ্ট হয়।
৬। আবার কমিটির ব্যক্তিবর্গের উচিৎ হবে ইমাম নিয়োগ দিবার পূর্বে তাহার যগ্যোতা যাচাই করা । আবার নিয়োগ দিবার পর যদি ইমামকে কমিটি পরিচালনা করে, তবে সেই ইমাম ও নামাজ এর ইমামতি করার সামন্য হলেও যোগ্যতা হারায়। বিশেষ ভাবে বলতে হয়, গত ঈদুল ফিৎর এর নামাজের সময় পিয়াচ্ছা ভিত্তরিওতে মাউলানা ছালাম সাহেব শুধূ নিজেকেই মাউলানা পরিচয় দিয়ে খুব জোড়ালো ভাবে বল্লেন, অমুক ইমাম মাউলানা না, অমুক ইমাম শুধূ হাফেজ, অমুক শুধূ কোরান পড়তে পারে ইত্যাদি-ইত্যাদি । 
সুতরাং আমাদের প্রশ্ন, যাহারা নিজেদেরকে মাওলানা না হয়েও মাওলানা বলে পরচিয় দিচ্ছেন, তাহাদের পেছনে কি নামাজ আদায় হবে ?
আবার জনাব গিয়াস উদ্দিন জাহাঙ্গীর ভাই পিয়াচ্ছা ভিত্তরিও এক মসজিদ এর ভিতর প্রকাশ্যে সকলের উপস্থিতিতে বল্লেন , অমুক ইমাম এর পিছনে নামাজ আদায় হবে না কারন তিনি --------? (লিখায় রুচী আসলনা বিধায় দুখিঃত) 
আবার অনেক ইমাম সাহেবগণ নিজের নাম গোপন করে ভিন্ন নামে পরিচিত। মূল নাম গোপন করলে কি, তাহার পেছনে নামাজ হবে ? ( কিয়ামতের দিন ঐ ইমাম সাহেবকে আল্লাহ কোন নামে ডাকবেন ? আর আমরা কোন ইমামের পিছনের কাতারে গিয়ে দাড়াব ? )
আবার অনেক ইমাম সাহেব , আমার (বাচ্চু) নামে প্রচার করেছে, আমি নাকি মসজিদ প্রতিষ্ঠার বিপক্ষে । ( মহান আল্লাহ সমস্ত গোপন অবগত আছে, যেহেতু আমি এমন কাজ করি নাই, তবে কি ঐ ইমাম সাহেবের পেছনে নামাজ আদায় হবে ?)
আবার বৈধ ভাবে নামাজ ! তাহলে প্রশ্ন থাকে অবৈধ কোনটা ? আর যদি অবৈধ হয়, তবে কেন ঐ অবৈধ নামাজ এর ইমামতি করল অন্য ইমামগণ ? 
আবার একজন ইমাম সাহেব পুলিশের নিকট আমাদের লিফলেট নিয়ে বলেছে, সেই লিফলেটে নাকি আমরা পুলিশের বিপক্ষে লিখেছি ( মহান আল্লাহতালার কসম, ঐ লিফলেটে পুলিশের বিপক্ষে কোন লিখা ছিলনা) , এই মিথ্যা বলার পরও কি তাহার পিছনে নামাজ আদায় হবে ? 
আবার যদি মনে করি তিনি ভুল করে ভেবেছেন ঐ লিফলেটি পুলিশের বিপক্ষে ছিল , তারপরও কি একজন ইমাম হয়ে কমুনিটির বিপক্ষে পুলিশের সোর্স হতে পারে ? অথবা আমরা যাহারা নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য প্রশাসনের সাথে মোকাবিলা করছি, সেই মোকাবিলার আওয়াতায় ( যেমন মিছিলে, মিটিং ও সভাতে পূর্ব অনুমতি বিনা ) বিভিন্ন সময় নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা করলে কি আমাদের নামাজ আদায় হবে?
সুতরাং যাহারা ফিৎনা সৃষ্টি করছেন, তাহাদের পিছনে কি নামাজ আদায় হবে ?
আমার এই লিখার কারনে যদি কোন ফিৎনা সৃষ্টি হয়, আর যাহারা আমাকে বাধ্য করছেন লিখার জন্য , তাহাদের পিছনে কি নামাজ হবে ? অথবা আমার লিখার কারনে যদি ফিৎনার সৃষ্টি হয়, তাহলে আমার যে পাপ হচ্ছে----- ( ইমামদের কিংবা কিছু মসজিদ এর বিপক্ষে বলার জন্য , যাহা আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি এবং আমার জানা মতে সুরা তওবার যে ব্যখ্যা উহা স্পষ্ট ভাবে লিখলাম, শুধূ মাত্র ভদ্রতার খাতিরে অনেকের নাম লিখি নাই) এর জন্য কে দায়ী হবে ?
আবার আসুন তরপিনাত্তারায় গত ০২-০৯-২০১৪ তারিখে ইতালীয়ানগন মুনিসিপিও এর সমর্থন নিয়ে সকল মসজিদ বন্ধ করার জন্যও সভা করেছে ( যদিও এক জায়গায় বলেছে শুধূ মাত্র একটি মসজিদ হতে হবে প্রশাসনের নিয়ন্ত্রনে) । আবার আমরা পত্রিকাতে দিয়েছি, ইতালীয়ানদের সহযোগীতায় তরপিনাত্বারাতে একটি বড় মসজিদ তৈরী করা হচ্ছে (সেই কপিও কাহারো বদৌলতে পুলিশের নিকট পৌছে গেছে ), আলহামদুলিল্লাহ, নতুন একটি বড় মসজিদ হবে, কিন্তু প্রশ্ন থাকে অন্য গুলি বন্ধ করতে হবে এই ক্ষমতা কে কাকে দিল ? 
এখন প্রশ্ন হয়েছে, কি কারনে মুনিসিপিও একটা মসজিদ করে দিবে ? আবার ইতালীয়ান নাগরিকগণ সাথে প্রশাসন বলে ফিরছে, মুসলমানদের ঐক্য নাই, কারন একটি মসজিদ লোকাল প্রশাসন আইনগত কারনে (মালিকের দালানগত তৈরী কাঠমোগত সমস্যা) নামাজ আদায় করতে নিষেধ করার পর, অন্য কোন মসজিদ তাহাদেরকে নামাজ আদায় করতে দেয় নাই বা দিবে না । কিন্তু কেন এই প্রশ্ন ? 
কোন মসজিদ কিংবা কমিটি এই ঘোষনা দিল যে, তরপিনাতারা জামে মসজিদ এর মুসল্লিগণ অন্য মসজিদে নামাজ আদায় করতে পারবে না ?
কি ভাবে তরপিনাতারার মসজিদ এর সমস্যা সমাধান করবেন ? কিছু বলতে গেলে আপনারা বলবেন--- আমরা মসজিদ এর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছি --- তারপরও বলব, ভাল হবে কুবা মসজিদ কমিটি এবং তরপিনাতার জামে মসজিদ এর কমিটি একত্রিত হয়ে একটি কমিটি গঠন করে একটি মসজিদ প্রতিষ্ঠার জন্য চেষ্টা করুন সাথে সকলে একত্রিত হয়ে তরপিনাতারা জামে মসজিদ এর বিল্ডিং এর মালিককে কঠিন ভাবে আইনগত চাপ সৃষ্টি করুন। 
আমার একটা প্রশ্ন ? আমরা কি নিজেদের বুকে হাত রেখে মহান শ্রষ্টার কসম খেয়ে বলতে পারব, কি কারনে খুব বেশী হলে মাত্র ১৫০ মিটার দূরত্বে ৫টি মসজিদ ? মাত্র ৫০ মিটার দূরত্বে দুইটি ঈদের জামাত হয়?
আল্লাহ আমাদের সকলের অর্ন্তজামি, তিনি ভাল ভাইবেই অবগত আছেন আমাদের মনের মাঝে কি বিরাজ করে ? আমি বার-বার বলি, আল্লাহ তাহাদেরকে হেদায়াত দান করুন, নইলে ধংশ্ব করুন । ( আবার অনেকে এর উত্তরে লিখেছে শকুনের দোয়াতে গরু মরে না ) তবে মনে হয় তাহারা অবগত নন যে, শকুন যদি আকাশে উড়ে তবে অভাব অনটন আসে। 
আবার আমাকে অনেকে অপবাদ দিয়েছেন, অমুক মসজিদ হউক, আমি চাই না !! এর উত্তর হলো আপেক্ষিক । যেমন মসজিদ কেন করা হচ্ছে ? ( সুরা তওবার ১০৭ থেকে ১১০ এর ব্যাখ্যায় গ্রহন যোগ্যতা আছে কি না ? )
তবে অনেক মসজিদ সৃষ্টির সাথে রাজনৈতিক ভাবে একমত প্রকাশ করি, কিন্তু সামাজিক ও যৌক্তিক ভাবে ঐ মসজিদ এর সাথে একমত না । রাজনৈতিক ভাবে একমত এই কারনে যেহেতু, মসজিদ ঘোষনা হয়েছে, তাই প্রশাসন যদি সেটাকে বন্ধ করতে চায়, যতক্ষন পর্যন্ত নিজের দম আছে ততক্ষন পর্যন্ত মোকাবিলা করে যাব।- ইনশাহআল্লাহ
কিন্তু যদি সামাজিক ও যৌক্তিক প্রশ্ন আসে, সেটার সাথে একমত না । কারন আমরা কেহ বাংলাদেশে একটি মসজিদ এর সামনে অপর একটি মসজিদ নির্মান করতে দেখি নাই এবং করতে দেয় না, শুধূ তাই নয় বাংলাদেশে কোন মসজিদ এর সামনে যদি কোন মন্দির বা র্গীজা করতে চায় আপনি কি অনুমতি দিবেন ? হলফ করে বলতে পারবেন কোথায়ও একটি মসজিদ এর পার্শে¦ মন্দির হয়েছে, বা মন্দির এর পার্শ্বে র্গীজা হয়েছে ? 
কিন্তু এই রোম শহরে এগুলি হয়েছে এবং হচ্ছে। 
আমার এই লিখা অনুগ্রহ পূর্বক কেহ ব্যক্তিগত ভাবে নিবেন না। শুধূ মাত্র নিজেদের সমস্যা গুলি আমি তুলে ধরলাম । নিজেদের জন্য একটি সমাধান পাওয়ার জন্য, যাহাতে ভবিষ্যৎ সময়ে এই গুলির পুনরাবৃত্তি না হয়, কারন ইতি মধ্যে বিশেষ নিরাপত্তা মিটিং-এ, অনেক প্রশ্ন উঠেছে, শুধূ তাই নয় গত ০৪-১১-২০১৪ তারিখে ইসিস ( নতুন জিহাদের পক্ষে ইরাক, সিরিয়াতে নতুন ইসলামিক দল) এর পতাকা রোম শহরের দেওয়ালে অঙ্কিত পাওয়া গেছে । এখন আবার অনেকে প্রশ্ন করবেন, তাতে আপনার কি ? উত্তর হলো আমাদের সংগঠন ইতালীর স্থানীয় নিরাপত্তার পরিষদের সদস্য, তাই বিভিন্ন সভাতে প্রশাসন অনেক প্রশ্ন রাখলে সেই গুলির জবাব দিহিতা দিতে হয় । 
যাই হউক স্বরন রাখবেন সাধারন মুসল্লিগন নামাজ আদায় করে আল্লার নৈকট্য লাভের আশায় । সাধারন মুসল্লিগণ মসজিদে দান করে নাজাত পাবার আসায় । সাধারন মুসল্লিগণ ইমামকে শ্রদ্ধা করে ও সাহায্য করে ইসলামিক আলেম হিসাবে ও সদকা হিসাবে। সাধারন জনগণ নেতাকে শ্রদ্ধা করে তাহার কর্তৃক সঠিক নেতৃত্ব পাবার আসায় । 
কিন্তু সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে, কমিটির নেতৃত্ব, কর্তৃত্ব আর ইমাম সাহেবদের পান্ডিত্য নিয়ে। অনেকে আবার প্রশ্ন করবেন তুমি বাচ্চু মিঞা কি দুধে ধোয়া তুলসি ?
না , আমি দুধে ধোয়া তুলসিও না, এমনকি পানিতে ধোয়া শাপলাও না । আমি প্রথম থেকেই বলছি, ধর্মীয় বিষয়ে আমার অবস্থান রাজনৈতিক---- আমি রাজনৈতিক কারনে, ইতালীয়ান প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলগুলির সাথে ১০০% রাজনৈতিক কারনেই , রাজনৈতিক ভাবে মোকাবিলা করি । সেটা যেমন মসজিদ এর জন্য, ঠিক তেমনি অন্য ধর্মের ধর্মশালার জন্যও তাই। সুতরাং মহান আল্লাহ ভাল জানেন আমার কি হবে ? 
আপনারা সুস্থ থাকুন, আগাম পবিত্র ঈদ-উল আজহার শুভেচ্ছা রইল ও অনুরোধ রইল সমস্ত রোম শহরের মুসলিম কমুনিটির সহযোগীতায় (বিশেষ কওে বাংলাদেশী কমুনিটি) খোলা মাঠে এক যায়গায় বিশাল একটি জামাত এর ব্যবস্থা করুন। --- যাহারা নিজেদের জাহির করার জন্য মসজিদ ও ঈদের নামাজ এর মাঠ প্রতিষ্ঠার সপ্ন দেখছেন তাহাদেরকে নীচের আয়ত গুলির অর্থ বুঝাবার জন্য অনুরোধ করছি। আমার দায়ীত্ব কমুনিটির নিকট তথ্য পৌছে দেওয়া, আমি তাই করলাম আর আপনারাই স্বাক্ষী , হউক সেটা আমার পক্ষে আর না হয় বিপক্ষে।
লক্ষ্য করুন সুরা তওবা কি বলে ?
১০৭ নং আর যারা একটি মস্জিদ স্থাপন করলো ক্ষতিসাধনের ও অবিশ্বাসের জন্য, আর বিশ্বাসীদের মধ্যে বিভিধ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে, আর তার ঘাঁটি স্বরুপ যে এর আগে আল্লাহ্ ও তাঁর রসুলের বিরুদ্ধে লড়াই করছিল, তারা নিশ্চয় হলফ করে বলবে------“আমরা তো চেয়েছিলাম শুধূ ভালো“---------- কিন্তু আল্লাহ্ সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, তারা তো আলবৎ মিথ্যাবাদী ।
১০৮ নং ---তুমি কখনো এতে দাঁড়াবেনা । নিঃসন্দেহ সেই মস্জিদ যা প্রথম দিন থেকেই ধর্মনিষ্ঠার উপর স্থাপিত তার বেশি দাবি রয়েছে যে তুমি সেখানে দাঁড়াবে । তাতে এমন লোক রয়েছে যারা ভালো পায় যে তারা পবিত্র হবে। আর আল্লাহ্ ভালোবাসেন তাদের যারা পবিত্র হয়েছে।
১০৯ নং---------- আচ্ছা! যে তা’হলে তার ভিত্তি গড়েছে আল্লাহ্র প্রতি ধর্মনিষ্ঠতা ও সন্তুষ্টির উপর সে-ই ভালো, না যে তার ভিত্তি স্থাপন করেছে পতনপ্রায় ধসের কিনারা উপরে, ফলে তা তাকে নিয়ে ভেঙ্গে পড়লো জাহান্নামের আগুনে? আল্লাহ্ পথ দেখান না অন্যায়কারী লোকদের।
১১০ নং----------- তাদের যে ভবন তারা বানিয়েছে তা তাদের হৃদয়ে অশান্তি সৃষ্টি থেকে বিরত হবে না, যদি না তাদের হৃদয় কুটি কুটি করা হয়। আর আল্লাহ্ সর্বজ্ঞাতা, পরমজ্ঞানী । 
আরেকটি বিষয় স্বরণ রাখা উচিৎ, কোন কান কথায় প্রমান ব্যতিত কাহারো বিপক্ষে মৌখিক, দেওয়ালে লিখা, লিফলেট, পত্রিকা, টিভি, বেতার কিংবা অনলাইন যেকোন ভাবে প্রচার অথবা না জেনে কিছু প্রচার করা গিবত হয়ে দাড়ায়, আর গিবত খুন করা থেকেও বড় অপরাধ । গিবতকারী সমাজের জন্য বিপদ জনক।
আর আল্লাহ্ বলেন----গিবতকারী হলো মৃতু ভাইয়ের গোস্ত ভক্ষন কারীর মত। 
নুরে আলম সদ্দিীকী বাচ্চু
---------------------------------------------------------------------------------------
ঈদ-মোবারক ঈদ-মোবারক
আস্সালামুআলাইকুম, প্রিয় দ্বীনি ভাই ও বোনেরা। সকলকে জানাই পবিত্র ঈদুল-আজহার আগাম শুভেচ্ছা। সেই সাথে আপনাদেরকে তথ্য দিতেছি যে, মসজিদ-এ-রোম এর তত্ত্বাবধানে ইনশাহআল্লাহ্ রোম শহরে একটি জাতীয় ঈদগা মাঠ পাওয়ার লক্ষ্যে পবিত্র ঈদুল-আজহার নামাজ খোলা মাঠে ব্যবস্থা করতে যাচ্ছে। 
স্থানঃ Via - Casilina ৭১২----বৈশাখী মেলার মাঠ 
মহিলাদের নামাজ আদায় ও শিশুদের পদচারনার সুব্যবস্থা থাকবে
১টা জামাত হবে, সকাল ৯.০০ টায় 
কি কারনে এই মাঠটি জাতীয় ঈদগা হতে পারে ? কি কারনে আমরা এটা চাচ্ছি ?
ক্স প্রায় ৪০০ গাড়ী পাকিং এর ব্যবস্থা আছে
ক্স ১০৫ বাস ও একোট্রাল সংযোগ
ক্স মেট্রো- সি হতে যাচ্ছে
ক্স তরপিনাত্তারা , তুসকলানা ও চেন্তচেল্লে থেকে মাত্র ৫ মিনিট এর যোগাযোগ
ক্স এই তিনটি এলাকায় আমরা প্রায় ১৪ হাজার বাংলাদেশী বসবাস করি
ক্স আগামী দিনে ইনশাহআল্লাহ্ এক-একটি জামাতে ৫/৬/১০ হাজার মুসল্লি হবে
ক্স বিশাল জামাত আদায় করার জন্য এই মাঠ+রানওয়েটি উপযুক্ত
ক্স বর্তমান রোম পৌরসভার কোন প্রকার প্রজেক্ট এই মাঠে না থাকায় ঈদগা হিসাবে দাবীটি গ্রহন যৌগ্যতা রাখে
ক্স একত্রিত হয়ে হাজার-হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করলে প্রশাসন ও ইতালীয়ানদের নিকট আমরা প্রমান করতে সক্ষম হব, আমরা সকলে ভাই-ভাই। ইসলাম অর্থ সহাবস্থান ও শান্তি। 
যদি এই বিষয় গুলির সাথে আপনি একমত হন, তবে আপনাকে জাতীয় ঈদগা মাঠে নামজ আদায় করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। ধন্যবাদান্তে--- ঈদগা বাস্তবায়ন কমিটি-ইতালী